সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব

আজ আমরা এই আর্টিকেলটিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব এবং কেন শিখব এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সবাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।


সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিন গুলো কি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এবং কিভাবে শিখব এবং ওয়ান পেজ এসইও সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে এ আর্টিকেলটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে ভালো লাগলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন একটা ওয়েবসাইটের জন্য কতটা যে গুরুত্বপূর্ণ এটা অনেকের না যানা। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ছাড়া একটা ওয়েবসাইট গুগললে ব্যাংক প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এইজন্য আজ আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব এর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি

আপনার কি কখনো একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন, আপনারা যখন কোন বিষয় সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য সার্চ রেজাল্ট এ গিয়ে সার্চ দেন তখন লক্ষ্য করবেন আপনারা কাঙ্খিত ফলাফলের জন্য অনেকগুলো ওয়েবসাইট একের পর এক দেখতে পাওয়া যায়। তবে আমরা সাধারণত পেজ এর মধ্যে যে দশটি ওয়েবসাইট আছে সেই ১০ টি ওয়েবসাইট গুলোর তথ্য পরে আমরা আমাদের কাঙ্খিত তথ্য পেয়ে যায়। এবার বলুন তো প্রথম পেজের ভিতর যে ওয়েবসাইটটি প্রথমে আসছিল কেন?

প্রথমে ওয়েবসাইটে আসার কারণটাই হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এবং ওয়েবসাইটটি প্রথম পেজ এ আসলে প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া যায় সেই কারণেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর এত কদর। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনকে আমরা সবাই শর্টকাটে এসইও বলি। এই এসইও না থাকলে কোনভাবে অনলাইনে বিশাল সংখ্যক ট্রাফিক আনা সম্ভব হতো না এবং ট্রাফিক না থাকলে অনলাইন ব্যবসা না হবেন এর আশা করা যাবে না। এজন্যই মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর এত কদর। নিচে আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি এর সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানবো।

সার্চ ইঞ্জিন গুলো কি কি

সার্চ ইঞ্জিনটা এমন একটা বিষয় আমরা বেশিরভাগ মানুষরাই জানি, সার্চ ইঞ্জিনটা এমন একটা সফটওয়্যার যেটা ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বা আমরা ব্যবহার করে থাকি। আমাদের অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর এর সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে কয়েক ক্লিকেই মাধ্যমে জানতে পারি।

ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে তবে অধিক ব্যবহৃত এবং সবার শিষে যে সার্চ ইঞ্জিনটা রয়েছে সেটা হল গুগল। গুগলে আমরা বিশ্বের এমন কোন তথ্য নেই যে পাওয়া যায় না। গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর কাজ হল বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং পেজের তথ্য মানুষের সামনে নিয়ে আসা। গুগল ছাড়া অনেক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে আমরা গুগল সার্চ ইঞ্জিন ছাড়ো আরো বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে অজানা তথ্য জেনে নেই,

গুগল : অনলাইনের জগতে শীর্ষে থাকা সার্চ ইঞ্জিন গুগল। যেকোনো ধরনের তথ্যের জন্য যেকোনো সময় আমরা এক ক্লিকে সমাধান পেয়ে যায়। গুগল সার্চ ইঞ্জিন ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ সালে এটা প্রকাশিত হয়। গুগলে ১০৯ টি ভাষার ক্যাপালিটি আছে। এজন্যই গুগল সারা পৃথিবীতে বেস্ট সার্চ ইঞ্জিন।

মাইক্রোসফট বিং : এই সার্চ ইঞ্জিন টার নাম বিং বলেই সবার কাছে পরিচিত ছিল। তবে পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে মাইক্রোসফট বিং রাখা হয়। মাইক্রোসফট সার্চ ইঞ্জিনটা গুগলের মতে বহুল পরিচিত সার্চ ইঞ্জিন এবং google এর পরে এর অবস্থান। তবে গুগলের থেকে এখানে কম সংখ্যক মানুষ সার্চ করে। তবে সারা পৃথিবীতে দ্বিতীয় অবস্থানে এই সার্চ ইঞ্জিন বেস্ট।

ডগ পাইল : ডগ পাইল হলো অন্যসব সার্চ ইঞ্জিন এর মত একটা চার্জ ইঞ্জিন। তবে এটা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের তথ্য মানুষকে চানার দিক নির্দেশনা দেয়।

ইয়াহু : গুগলের মতো yahoo অনলাইন জগতের সার্চ ইঞ্জিন। এই সার্চ ইঞ্জিনটা গুগল প্রকাশিত হওয়ার আগে ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। ইহাহু সার্চ ইঞ্জিন এর তথ্য, মেইল, উত্তর ইত্যাদি বিষয়ে করা হয়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব

সার্চ ইঞ্জিন গুলো google, Yahoo,Bing,Pipililaইত্যাদি ধরনের সার্চ ইঞ্জিন আছে। এই সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে আপনার কনটেন্টের ট্রাফিক এর কাছে পৌঁছে দেওয়ায় কাজই হল এসইও।আপনি যখন সার্চ ইঞ্জিন এ গিয়ে সার্চ করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটটি সবার সামনে আসবে না আসবে সবার সামনে আসার জন্য আমাদেরকে এসইও লাগবে।আর এই এসইও শিখে আমরা ওয়েবসাইট সবার সামনে নিয়ে আসতে পারবো।এসইও শেখার জন্য আমাকে প্রথমে কয়েকটি বেসিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে যথা,

কিওয়ার্ড : ধরা যাক কেউ গুগলের ভেতর ঢুকে সার্চ রেজাল্ট এ গিয়ে আমের উপকারিতা। এটাই হলো কিবোর্ড। প্রত্যেকটি শব্দ এক একটি কিওয়ার্ড। এখানে তিনটি শব্দ আছে তাই এখানে তিনটি কিওয়ার্ড আছে।

ব্যাকলিংক : ব্যাকলিংক হল একটি অধিক পরিচিত বা স্বনামধন্য ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের ভেতর একটা নতুন ওয়েবসাইট এর লিংক দেওয়া আছে এটাই ব্যাকলিংক। স্বনামধন্য ওয়েবসাইটটি পড়ার সময় নতুন ওয়েবসাইটের লিংক এর ওপর সবাই ক্লিক করতে পারে ওয়েবসাইটটি ভালো মনে করে। সাধারণত এটাই ব্যাকলিংক।


পেজ রেঙ্ক : গুগল এগিয়ে যখন কোন কিছু সার্চ দেই তখন গুগল এর প্রথম পেজে দশটি ওয়েবসাইট আসে এই দশটি ওয়েবসাইট আসাটাই হলো পেজ র‍্যাঙ্ক।

টাইটেল ট্যাগ : আপনারা google দিলে দেখবেন যে টাইটেলের নিচে যে দুই চারটা লাইন লেখা আছে সেটাই হল টাইটেল ট্যাগ।

এসো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে শিখব এর ধারনা দেই, আপনারা যদি মনে করিতা আপনি পাঁচ দিনের মধ্যে এসইও শিখতে পারবেন তাহলে আপনার ইচ্ছা শেখার দরকার নেই কোন কাজ এত তাড়াতাড়ি শেখা সম্ভব নই। আপনাকে ধৈর্য সহকারে এসইও শিখতে হবে। আর ভালো ট্রেইনার এর কাছে শিখতে হবে এবং ভালো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তাহলে সম্ভব। একটা ওয়েবসাইট র‌্যাংক করানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখা অত্যন্ত জরুরি। আমরা অন পেজ এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কি

আমরা এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা নিয়ে আলোচনা করব। সেটা হলো সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর সংক্ষিপ্ত রুপ SEM.SEM মার্কেটিং করে একটা ব্যবসাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবে। যদি কোন মানুষ এস ই এম মার্কেটিং করে আর সফলতা পায় তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

কারণ এটা একটা অনলাইন ব্যবসা যা বাড়িতে বসে খুব সহজে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করা যায়। সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে যে কোন ওয়েবসাইটের সার্চ ফলাফল গুগল এর প্রথম পেজ এ দেখানো। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করে নিজের থাকলে অন্যের ব্যবসিক পণ্য দিও আয় করা সম্ভব। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলতে আমরা যা বুঝি যে কোন ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে এড দেখানোকেই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে। আবার সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর দুটি প্রকারভেদ আছে যথা :

  • পেইড, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • অর্গানিক, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
এখন আমরা seo এবং sem সংক্ষেপে বুঝবো
এসইও : এসইও একটি অর্গানিক পদ্ধতি ওয়েবসাইটের রেঙ্ক করাতে কোন টাকা লাগে না। তবে এটা সময় সাপেক্ষ এসইও এর কিছু রুলস মেনে কাজ করতে হয় এতোটুকুই। তবে ব্যবসার ব্র্যান্ড বাড়ানোর জন্য এটা লাভজনক।

এস ই এম : এসিএম হলো পেইড পদ্ধতি যা ওয়েবসাইটের রেঙ্ক করার জন্য টাকা লাগে।গুগলকে টাকা দেওয়ার কারণে ওয়েবসাইটটি দ্রুত রেংক করে এবং ওয়েবসাইট এ বিজ্ঞাপন গুলো গুগল এর প্রথম পেজে অ্যাড হিসেবে দেখানো হয় কাস্টমার এর কাছে এবং কাস্টমার অ্যাড দেখে ব্যবসিক পণ্য কিনতে আগ্রহ হয়।

উদাহরণ :একটা পণ্যের দাম ২০০০ টাকা এসইও এর মাধ্যমে যদি পণ্যটি বিক্রি করে তাহলে দুই হাজার টাকায় আমার লাভ আসবে। আর এস ই এম মাধ্যমে বিক্রি করি পনেরশো আমার থাকবে বাকি ৫০০ গুগল কে দিতে হবে। কারণ এস ই ও অর্গানিক আমি নিজে এসইও এর দীর্ঘ সময় ধরে রুলস মেনে কাজ করছি। আর এস ই এম হলুদ পেড google নিজে খুব দ্রুততার সাহায্যে google এ রেংক করাচ্ছে তাই ভক্তারা দেখতে পাচ্ছে এবং বেশি সংখ্যক ভক্তারা পণ্যটি ক্রয় করছে।

এখানে লাভটা এস ই ও এর মাধ্যমে পণ্য একটা বিক্রি করি তাহলে সম্পূর্ণ টাকা আমার আর এসইএম এর মাধ্যমে দিনে দশটা বিক্রি করে তাহলে গুগলকে প্রতিটার জন্য ৫০০ টাকা করে দিতে হবে দেওয়ার পরে যা থাকবে সেটা আমার। এখন আপনারাই বলুন কোনটা বেশি লাভজনক অবশ্যই বলবেন এসইএম। অবশ্য এটাই ছিল এসইও এবং এস ই এম এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য। আশা করি আপনারা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মধ্যে গুলিয়ে দেবে না এখন থেকে আর।

অন পেজ এসইও কি

আমরা সবাই জানি একটা ব্লগিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য এসইও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অন পেজ এসইওছাড়া কখনো একটা ওয়েবসাইট ঘুরে রেঙ্ক করানো সম্ভব না।অন পেজ এসইও সম্পর্কে আমরা যা বুঝি, একটা ওয়েবসাইট এর মধ্যে যত রকম এসইও করতে হয় তা আমরা অন পেজ এসইও এর সাহায্য করি। আসুন আমরা ওয়ান পেজ এসইও কিভাবে করতে হয় তার সংক্ষেপে জানি,


ওয়ান পেজ এসইও এর জন্য টাইটেল সাধারণত ৫ থেকে ১০ ওয়ার্ড এর মধ্যে রাখলে ভালো হয়। তবে খুব ছোট্ট আবার খুব বড় রাখলেও ভালো হয় না টাইটেল। টাইটেল মাঝারি সাইজের টাই ভালো হয়। আবার একটি ব্লগার ওয়েবসাইট জন্য আর্টিকেল লিখার সময় প্যারা ভাবে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন কারণ বড় প্যারা যুক্ত আর্টিকেল পাঠকরা পড়তে পছন্দ করে না।

তাই সব সময় ছোট যুক্ত আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করবেন। সাধারণত ছোট ছোট পয়েন্টের নাম্বারিং করবেন বুলেটিং করার জন্য ওয়েব সাইটে। বুলেটিং করলে লেখার সৌন্দর্যটা বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি আগে ওয়েবসাইট এর কয়েকটা কনটেন্ট লিখে এসইও এর কাজ করেন তাহলে খুব সহজে এসইও বিভিন্ন পার্ট শিখতে পারবেন ও মনে রাখতে পারবেন।

পরিশেষে বলা যায় অন পেজ এসইও এর আর্টিকেলের প্রতিটি পাতায় করতে হয় না করলে ওয়েবসাইটটি রেংক করানো সম্ভব না। অন পেজ এসইও আমরা আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে করতে পারি এবং সে ওয়েবসাইট এর কন্টেন লিখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কনটেন্ট টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, ছবি ইত্যাদি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।অন পেজ এসইও প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং অন পেজ এসইও ছাড়া গুগল ওয়েবসাইট রেংক করানো সম্ভব না।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আপনারা যারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ছেন তারা অবশ্যই জেনে গিয়েছেন সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্ক সম্পর্কে বিস্তারিত এবং এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ একটা ওয়েবসাইটের জন্য। আশা করি আর্টিকেলটি সবার ভালো লাগলে আপনাদের পরিচিত বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন দয়া করে। সবাইকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url