স্ক্রিনশট নিয়ম এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জেনে নেই

কপিরাইটিং এর কথা শুনলেই প্রথমে আমাদের দুটি শব্দের কথা মনে পড়ে যায় সেটা হল কপিরাইট এবং কপি পেস্ট। তবে এই দুটি শব্দের ভিন্ন ভিন্ন কাজ আছে যথা কপিরাইট হলো যেটা কোন একটা পোষ্টের মালিকানাকে বুঝাই এবং কপি পেস্ট হল কোন কিছু লেখাকে হব কপি করে পেস্ট করাকে বোঝায়।আর কপিরাইটিং হলে এমন একটি বিষয় যেটা বোঝানো আসলেই জটিল।

 

আজ আমরা এ বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কপিরাইটিং বিষয়টা বোঝার জন্য প্রথমে আমাদেরকে তিনটি শব্দের সাথে পরিচিত হবে সে তিনটি শব্দ হল Attention, Promise, call to action। অ্যাটেনশন মানে এখানে বোঝানো হয়েছে কোন একটা প্রোডাক্ট এর ছবি দিয়ে মানুষের কাছে আটটেনশন পাওয়া এবং ক্রেতারা যেন বুঝতে পারে এ প্রোডাক্টটি অনেক ভালো

এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করে এরপর প্রমিসটা ক্রেতাদের কাছে এমন ভাবে করতে হবে যেন প্রোডাক্টার গুণগতমান অনেক ভালো এবং প্রোডাক্টটা খেলে ক্ষতি হবে না ক্রেতাদের এভাবে প্রমিস করতে হবে ক্রেতাদের কাছে। এভাবে এই দুইটা কাজ সম্পন্ন করার পর কল টু অ্যাকশন মানে ক্রেতারা প্রোডাক্ট কি কিনে নিবে একদম বিশ্বস্ত ভাবে। আশা করছি কপিরাইটিং কি এটা সবাই বুঝতে পারছেন।

এখন আমরা গ্রামাটিকাল এরর চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানব। গ্রামারটিকাল এরর চেক করার নিয়ম সাধারণত দুইটি যথা বাংলা এবং ইংরেজি।গ্রামাটিকাল এরর আমরা ব্রাউজার থেকে চেক করতে পারব ইংরেজি ওয়ার্ডগুলো বাংলা ওয়ার্ড গুলো চেক করার জন্য আমাদেরকে সফটওয়্যার বা অ্যাপস লাগবে। কোন পোস্ট ইংরেজিতে লিখলে ভুল হলে নিচের লাল দাগ দিয়ে দেখিয়ে দেয় ওই ওয়ার্ডটি ভুল হয়েছে তখন আমরা ওই ওয়ার্ডের ওপর রাইট ক্লিক করলে শুদ্ধ বানান দেখতে পাই 

এবং ওই বানানটির ওপর ক্লিক করলেই শুদ্ধ বানানো হয়ে যায়।বাংলা বানান শুদ্ধ করার জন্য আপনি অভ্র ইস্পিল চেকারে গিয়ে লিখতে পারবেন। অভ্র ইসপিল চেকার ওপেন করার পর একটা বাক্য লিখতে হবে এবং সঠিক হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য স্পিল চেক এ ক্লিক করে দেখতে হবে ভুল হলে চেঞ্জ অল এ ক্লিক করতে হবে এর পোস্ট এর মধ্যে ওই বানান যেখানে যেখানে আছে ওখানেই চেঞ্জ হয়ে যাবে আর চেঞ্জ ওয়াছ দিলে শুধু এক জায়গাতেই চেঞ্জ হবে ওই বানানটি। আশা করি গ্রামাটিক্যাল বিষয়টি কি সেটা বুঝতে পেরেছেন।

স্ক্রিনশট নিও আমাদের জন্য খুবই জরুরী একটা বিষয়। স্ক্রিনশট ছাড়া আমরা কোন কিছু কাউকে বোঝাতে পারিনা। আজকে আমরা আর্টিকেলটি পরে জানবো স্ক্রিনশটের প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার। আমরা সাধারণত মোবাইল ডেস্কটপ ল্যাপটপ এ স্ক্রিনশট নিয়ে থাকি। মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া বিভিন্ন পদ্ধতি বিভিন্ন ফোনের জন্য। সাধারণত মোবাইল ফোনের স্ক্রিনশট নেওয়া হয় ভলম অ্যাপ এবং ভলিউম ডাউন আবার অন্য ফোনে তিনটা আঙ্গুল দিয়ে উপর থেকে নিচের টান দিবে স্ক্রিনশট হয়ে যায়।

ল্যাপটপ আবার ডেস্কটপে স্ক্রিনশট নেয়ার পদ্ধতি আলাদা। ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ এ স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য একটা অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে করতে হবে।অ্যাপস এর নাম siniping tool.Siniping tool অ্যাপসটা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে ওপেন করে কতটুকু অংশ স্ক্রিনশট নেব সেটা সিলেক্ট করতে হবে।সিলেট করা অংশটুকু সেভ করতে হবে।

স্ক্রিনশটটা crop করার জন্য ফটোশপে যেতে হবে. এবার অতিরিক্ত অংশটা কাটার জন্য crop tool এ ক্লিক করে রাইট বাটন এর প্রথমে যেটা আছে সেটাতে ক্লিক করতে হবে তারপর স্ক্রিনশটটা উপরের রাইট বাটনে ক্লিক করে ক্লিয়ার রেশিও করে স্ক্রিনশটটা ছোট বড় করতে হবে। crop করার জন্য টিক চিহ্নতে ক্লিক করে ছোট করে নিলাম স্ক্রিনশটটা। আপনার ওয়েবসাইটের কোন পিক কেউ চুরি করে নিতে পারে সেজন্য এটা এড়ানোর জন্য ছবির উপর জলছাপ দিতে হবে।

সেটা দেওয়ার জন্য ছবির উপর আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখে দিতে হবে। সেটা দেওয়ার জন্য টেক্সট টুল এ ক্লিক করে ছবির উপরে ক্লিক করে লিখতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের নাম। এবার নামটা ঝাপসা করার জন্য লেয়ার্স থেকে অপাসিটি টা কমিয়ে দিতে হবে এটা সেভ করতে হবে। স্ক্রিনশটটা মার্ক করার জন্য ফটোশপে এ গিয়ে একটু লেয়ার ক্লিক করতে হবে এবং মার্ক করতে হবে এবং সেভ করতে হবে।এভাবে সাধারনত আমরা স্ক্রিনশট নিয়ে থাকি আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

Plagiarism এমন একটি বিষয় যেটা সবারই জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। আসুন আজ আমরা Plagiarism সম্পর্কে বিস্তারিত জানি। একটা ওয়েবসাইট থেকে কেউ যদি লিখা কপি করে অন্য জায়গায় বা তার ওয়েবসাইটে পেস্ট করে সেটাই Plagiarism। আবার কেউ যদি ওয়েবসাইট থেকে ৩-৪ লাইন কপি করে বা কেউ যদি ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ লেখা কপি করে তাহলে এখানে দুটো বিষয়েই Plagiarism.Plagiarism বিষয় একটা অপরাধমূলক কাজ।

এখন আপনি বুঝবেন কি করে আপনার লেখা কেউ চুরি করেছে কি সেটা জানার জন্য আপনাকে আপনার লেখাটা কপি করে Copyscape ওয়েবসাইট এ গিয়ে কপি করা লেখাটা পেস্ট করে গো এর চাপ দিলে বুঝা যাবে কেউ চুরি করেছে কিনা চুরির না করলে নো রেজাল্ট ফাউন্ড আসবে। আর চুরি করলে অনেক ওয়েবসাইট আসবে যে ওয়েবসাইট লেখাগুলো কপি করেছিল । আবার অন্যভাবে চেক করা যায় Plagiarism সেটা আপনার লেখা কপি করে গুগলে গিয়ে সার্চ দিলে বোঝা যায় যে লেখা Select দেখা যায় সেটাই কপি করা বোঝায়।আশা করছি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন Plagiarism কী।

আর্টিকেল স্পিনিং : আর্টিকেল স্পিনিং এমন একটা বিষয় সেটা একটা ওয়েবসাইটের মালিকের যেন খুব জরুরী। ধরুন আপনি অন্য একটা ওয়েবসাইটের লেখা কপি করে Free-article spinner.com সেইড এ পেস্ট করে spin text এ ক্লিক করলে দেখতে পাবেন আগের ওয়েবসাইট লিখাটাই এখানে লেখা আছে কিন্তু এখানে ওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন দিয়ে। কিন্তু এখানে দুটো লিখাটাই একই অর্থ বুঝায়।এই লেখাটা যদি অন্য কোন ওয়েবসাইট এ পাবলিশ করি তাহলে লিখাটা চুরি করা অপরাধের লিগ্যাল এ্যাকশন নিতে পারবেনা ওই ওয়েবসাইট মালিক।

আর্টিকেল স্কাপিং : আর্টিকেল স্কাপিং এমন একটা বিষয় যেখানে একটা কিওয়ার্ড লিখে দিলে ওই কীওয়ার্ড সম্পর্কে একটা সম্পূর্ণ আর্টিকেল লিখে দেবে। তবে আর্টিকেল স্পিনিং এবং আর্টিকেল স্ক্যাপিং একটা ওয়েবসাইটের জন্য ভালো না। আর্টিকেল স্পিনিং এবং আর্টিকেল স্ক্যাপিং করে যদি একটা আর্টিকেল লেখা হয় তাহলে গুগল যদি বুঝতে পারে তাহলে ওয়েবসাইটে ব্যান করে দিতে পারে ভবিষ্যতে।সেজন্য এভাবে আর্টিকেল লেখা যাবে না আমার মতে।

Buying কিওয়ার্ড হলো এমন একটি বিষয় যেটা দিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করা যায়। সেটার একটা উদাহরণ দেওয়া হল মনে করেন আপনি একটা আমের ব্যবসা করবেন এবং আমের গুণগত মান সম্পর্কে আপনি একটা আর্টিকেল লিখলেন এবং আর্টিকেলের ভিতর আপনি এড চালালেন যে আম বিক্রি করা হবে খুব অল্প দামে এবং এর গুণগত মান অনেক ভালো। 

এই আর্টিকেলটা পড়ে অনেক কাস্টমার আপনার কাছে আম চিন্তা আগ্রহী হবে এবং আপনি কাস্টমারকে আমি সেল করবেন। এটাই হলো Buying কিওয়ার্ড। এভাবে আপনি অন্য কারো ব্যবসা করতে পারেন এবং অ্যাপিলেট মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটে এড দেখানোর মাধ্যমে এবং এর পরিবর্তে আপনি কমিশন দাবি করতে পারবেন। আশা করছি আপনারা Buying Sky কিওয়াড কি তা জানতে পেরেছেন।